সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হচ্ছে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর৷ উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রতিবছরই মার্কেটগুলোতে কেনাকাটার ধুম পড়ে যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। শেষ মুহুর্তে ভিড় বেড়েছে মার্কেট গুলোতে। উৎসব উপলক্ষে পছন্দের পোশাক কিনতে ব্যস্ত সব বয়সের নারী-পুরুষ।সিরাজগঞ্জ শহরের এস এস রোড এবং পৌর নিউ মার্কেটে পূজার কেনাকাটা শুরু হয়েছে বেশ কয়েকদিন ধরেই। শহরের প্রধান প্রধান মার্কেট ও র্পৌর নিউমার্কেট এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। ক্রেতাদের মধ্যে তরুণ-তরুণীর সংখ্যাই বেশি। তারা বলছেন, পূজার কয়েকদিন বাকি থাকলেও ভিড় এড়াতে আগেভাগেই কেনাকাটা সেরে ফেলছেন তারা। অন্যদিকে, বিক্রেতারা বলছেন পূজা ঘনিয়ে আসায় বিক্রিও বেশ বেড়েছে। কয়েকটি মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, জিন্স প্যান্ট ৬০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা, ড্রপ সোল্ডার টি-শার্ট ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, শার্ট ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা, টি-শার্ট ২০০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পূজার কেনাকাটা করতে আসা সুভাষ বলেন, পূজায় বাড়িতে যাবো। এখন ভিড় কিছুটা কম, কেনাকাটা করতেও ভালো। এজন্যই আসা। কাপড় কিনতে আসা ক্রেতা বলেন, দুর্গাপূজা আমাদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান তাই প্রতি বছরই নিজের জন্য এবং পরিবারের সবার জন্য কেনাকাটা করি৷ বিক্রেতারা বলছেন, পূজার কয়েকদিন বাকি থাকলেও কেনাকাটা শুরু হয়ে গেছে। ক্রেতা সমাগম বাড়তে শুরু করেছে। মার্কেটের দোকানি বলেন, ক্রেতা সমাগম এখন বেশ বেড়েছে। ভালো বিক্রিও হচ্ছে। আশা করছি এবার ভালো বিক্রি হবে। এছাড়া নিউমার্কেটের ফুটপাতের দোকানগুলোতেও ক্রেতাদের বেশ ভিড় দেখা গেছে। শহরের বিগবস, ইউটার্ন, ইনরিচ, নাহিন, রাইট পয়েন্ট, রিচম্যান. দর্জি বাড়িতে ক্রেতাদের ভীর লক্ষ করা গেছে। বেচাকেনা বেড়েছে জুতার দোকানগুলোতেও। বিক্রেতা জানান মার্কেটের পাশাপাশি আমরা যারা রেডিমেট জুতার ব্যবসা করি এখন আমাদের বিক্রয় বেড়েছে। পুজার বাকি আর কয়দিন তারপরেও বেচা বিক্রি ভালো। কসমেটিকস এর দোকানেও বিক্রি বেড়েছে। সিরাজগঞ্জ বড় বাজার সাজ ঘড়ের রাজিব কুন্ডু জানান মেয়েরা বান্ধবীদের সাথে এসে আবার অনেকে পরিবারের সাথে এসে কসমেটিকস এবং চুড়ি, আইলানা, মাসকারা কিনছে। যতই দিন যাচ্ছে বিক্রি ততই বাড়ছে। টেইলার্স গুলোতেও এখন কাজের চাপ বেড়েছে। মুক্তা টেইলার্সের মালিক মুক্তা হোসেন জানান এখন অর্ডার অনেক পাচ্ছি, তবে দুই এক দিন পর আর অর্ডার নিবো না। কারন কাজ শেষ করে আবার পুজোর ডেলিভারি দিতে হবে। এদিকে মার্কেটের নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহন করেছে পুলিশ বিভাগ।