অসময়ে পরিবেশবান্ধব মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ছোনগাছা ইউনিয়নের ঝিনাইগাতী গ্রামের তরুণ উদ্যোক্তা মেহেদী হাসান। বাজারে চাহিদা থাকার পাশাপাশি দামও পাচ্ছেন। সাধারণত বছরে একবার তরমুজ ফলানো সম্ভব হলেও এই মালচিং পদ্ধতিতে বছরজুড়েই রসালো ফল তরমুজ চাষ করা যায়। এ বছর মেহেদী হাসান প্রায় এক বিঘা জমিতে উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড মার্সেলো জাতের তরমুজ চাষ করেছেন। তিনি জানান, “প্রথমবারের মতো পরিবেশবান্ধব মালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করে অসময়ে তরমুজ উৎপাদন করে ভালো ফলন পেয়েছি। প্রায় ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা উপার্জন করেছি। তবে বৃষ্টির কারণে কিছু গাছ নষ্ট হয়েছে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আরও বেশি লাভ সম্ভব।” মার্সেলো জাতের এই তরমুজ ভাইরাস সহনশীল, এবং ৬০ থেকে ৭০ দিনের মধ্যেই ফসল তোলা যায়। বর্ষাকালে প্রতিটি তরমুজের গড় ওজন হয় ৩ থেকে ৫ কেজি, আর শীতকালে ফলন আরও বাড়ে। কৃষকের হিসাব অনুযায়ী, এক বিঘা জমিতে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব। স্থানীয় বাসিন্দা মো. মোফাজ্জল তালুকদার বলেন, “আমাদের এলাকায় আগে কখনো মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ হয়নি। তরুণ উদ্যোক্তা মেহেদী এই উদ্যোগ নিয়ে আমাদের গর্বিত করেছে।” আরেক কৃষক মো. আলম বলেন, “মেহেদী খুব ভালো উদ্যোগ নিয়েছে। আমরাও ভবিষ্যতে এই পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ করবো, কারণ এতে ফসলের ক্ষতির সম্ভাবনা কম।” কৃষি বিশেষজ্ঞরা জানান, মালচিং পদ্ধতি ভারত ও ইসরায়েলে বেশ জনপ্রিয়। প্রচলিত পদ্ধতিতে যেখানে বীজ সরাসরি জমিতে লাগানো হয়, সেখানে মালচিং পদ্ধতিতে বীজ অঙ্কুরিত করে বিশেষ প্লাস্টিক পেপারে মুড়িয়ে রোপণ করা হয়। এতে গাছের আর্দ্রতা বজায় থাকে, আগাছা কম জন্মে এবং ফলন বাড়ে।