শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:০০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সিরাজগঞ্জে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত টাইফয়েডের টিকা কার্যক্রম উপলক্ষে কনসালটেশন ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত সিরাজগঞ্জে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৫ উদ্বোধন মানসিক ভারসাম্যহীন নারীর ভিক্ষা করা জমানো তিন বস্তা টাকা উদ্ধার বগুড়ায় আগাম শীতকালীন সবজি চাষ লাভবান হওয়ার আশা কৃষকদের কাজিপুরে সোনামুখী মেলায় বসেছে নানা পণ্য সামগ্রীর পসরা বাজারে কাঁচামরিচ, বেগুন সহ বেশকিছু সবজির দাম কমলেও বেড়েছে ডিমের দাম মালচিং পদ্ধতি তরমুজ চাষ করে সফলতা পেয়েছে তরুণ উদ্যোক্তা মেহেদী হাসান চলনবিল অধ্যুষিত তাড়াশ উপজেলা এখন সম্ভাবনার জনপদ মাছ, হাঁস ও কৃষিতে বদলে গেছে গ্রামীণ অর্থনীতি বগুড়ায় ধনেপাতা চাষে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে

তাড়াশের মহিষলুটি মাছের আড়ত: কর্মসংস্থান ও ব্যবসার কেন্দ্র

সাব্বির মির্জা, তাড়াশ / ২৩ বার
আপডেট : সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ভোরের আলো ফোঁটার সাথে, ক্রেতা-বিক্রেতায় হাক ডাকে মুখরিত হয়ে ওঠে চলনবিল অধ্যুষিত সিরাজগঞ্জের অন্যতম তাড়াশের মহিষলুটি মাছের আড়ত। ভোর হতেই চলনবিলের বিভিন্ন স্থান থেকে নানা ধরনের মাছ আসতে থাকে। শুরু হয় কেনাবেচা। চলনবিল এলাকার আটটি উপজেলার মাছ মহিষলুটি আড়ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে। প্রসিদ্ধ এ আড়তে কর্মসংস্থান হয়েছে বহু শ্রমিকের। সেই সাথে বছরে কোটি কোটি টাকার লেনদেন স্থানীয় অর্থনীতিতেও বিরাট ভূমিকা রাখছে এ মাছের আড়তটি। চলনবিলের বৃহত্তম এ মৎস্য আড়তের পাশে সরকারিভাবে একটি হিমাগার নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।  হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কের পাশেই প্রায় ৫০ শতক জমিতে গড়ে উঠেছে মহিষলুটি আড়ত। এখানে মাছ কেনাবেচার জন্য সরকারিভাবে চারটি শেড নির্মাণ করা হয়েছে। মাছ প্রক্রিয়াজাত করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠাতে গড়ে উঠেছে ছয়টি  বরফকল। সড়কপথে ভালো যোগাযোগ থাকায় সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, রায়গঞ্জ, উল্লাপাড়া, পাবনার ভাঙ্গুড়া, চাটমোহর, নাটোরের বড়াইগ্রাম, গুরুদাসপুর, সিংড়ার মৎস্য ব্যবসায়ীর মহিষলুটিতে স্বপ্ন ব্যাপারী ২০২৪ ইং সালে প্রথমে বাবলাতলা মাছের আড়ৎ দিয়েছিলেন। তারপর ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে টিনের ছাউনি দিয়ে বেড়াহীন ছাপরা ঘরে শুরু করেন ভাত বিক্রি। তখন ছোট মাছ, ভাজি এবং গরুর মাংস বিক্রি হতো। এখন যমুনা হোটেলে কাজ করেন সাতজন কর্মচারী। এর মধ্যে রাঁধুনি দুইজন। একজন ক্যাশিয়ার এবং দুজন ওয়েটার। বিভিন্ন ধরনের ট্রেনিং, সভা ও সেমিনারেও দোকানটি থেকে খাবার পার্সেল করা হয়। চৌহালী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘যমুনা হোটেলটির খাবারের মান, স্বাদ ও পরিবেশ অন্য সব হোটেলের চেয়ে আলাদা। তাই অফিসের দিনগুলোতে দুপুরের খাবার আমরা যমুনা হোটেলেই খাই। মালিক জানান,কাস্টমারদের ভালো সেবাদানই আমার প্রথম লক্ষ্য। যত দিন আমার শক্তি-সামর্থ্য দিয়েছেন, তত দিন আমি মানুষকে ভালো মানের সেবা দিতে চাই।’ স্থানীয় বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ  বলেন, খাবারের মান ভালো হওয়ায় অল্প দিনেই যমুনা হোটেলটি জনপ্রিয় হয়েছে। যমুনা পাড়ে এ রকম একটি হোটেল সত্যি প্রশংসার দাবিদার।


এ জাতীয় আরো সংবাদ
কারিগরি সহযোগিতায়: সিরাজগঞ্জ ইনফো